শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১২:১৯, ১৪ মার্চ ২০২৫

পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের আজ ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী।একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কবি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই দিনই তাকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয়।

পল্লিকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় শহরের গোবিন্দপুর এলাকার কবির পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় ডালিম গাছের নিচে কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবীর। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি শিক্ষক, সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া কবির প্রতিষ্ঠিত আনছারউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

প্রসঙ্গত, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে লেখা তার ‘কবর’ কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে যান। ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আসমানি’ তার বহুল পঠিত কবিতাগুলির অন্যতম। এ ছাড়া মধুমালা, বেদের মেয়ে, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশী কাঁথার মাঠ, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, বাঙালির হাসির গল্প, প্রভৃতি লেখায় হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্যদিয়ে গ্রাম বাংলার শ্বাশত্ব রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি পল্লি সাহিত্যকে বিশ্বসংসারে নিয়ে গেছেন। এজন্যই তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং পল্লীকবি হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়