মহররম যে কারণে ‘আল্লাহর মাস’
মুসলমানদের জন্য হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মহররম। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত চার সম্মানিত মাসের একটি। হাদিসে এ মাসের বড় মর্যাদার কথা এসেছে। এ মাসের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এটি ইসলামের ইতিহাসে ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় একটি দিন। এর কারণে মহররম মাসের ফজিলত বেড়েছে বহুগুণে।
রমজানের পর হিজরি সনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস এটি। এই মাসকে মহানবী (সা.) ‘আল্লাহর মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ)।’ (মুসলিম)
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, সব মাসই তো আল্লাহর। মহররমকে বিশেষভাবে আল্লাহর মাস বলার কারণ কী? এর জবাবে বলা হয়, এই মাসের বিশেষ ফজিলত বোঝাতেই মূলত একে আল্লাহর মাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত হাদিসে বলা হয়েছে, মহররম মাসের রোজা রমজানের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। আল্লাহর মাস বলার এটিও একটি কারণ।
মহররম মাসের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত আরও বেশি। আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে রমজান ও আশুরার দিন যেমন গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে দেখেছি, অন্য সময় তা দেখিনি।’ (বুখারি)
অন্য এক হাদিসে এই মাসে তওবা কবুল হওয়ার কথাও এসেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখো। কারণ এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্য জাতিগুলোর তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি)