ইজতেমা ময়দানে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে হবিগঞ্জে সমাবেশ
‘বর্তমানে তাবলীগ জামাতের মধ্যে চরম আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এটির কারন হলো দিল্লীর মাওলানা সাদ কান্দলভী। তিনি কুরআন ও হাদিস বিরোধী বক্তব্য ও ফতোয়া দিয়েছেন। সম্প্রতি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ৪ জনকে হত্যা ও নিরীহ মানুষকে আহত করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীদের ছাড় দেব না। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দিতে হবে। ’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্থানীয় নিউফিল্ডে ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী।
ইজতেমা ময়দানে হতাহতের ঘটনায় সাদপন্থীরা জড়িত দাবি করে বক্তারা বলেন,অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। মার্কাজ মসজিদ ছাড়া হবিগঞ্জের অন্য কোনো মসজিদে সাদপন্থীরা প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য সকল মুসল্লিদের প্রতি আহবান জানানো হয় সমাবেশে।
তারা আরো বলেন, তাবলীগ দ্বীনি কাজ। জনমনে কোনো বিভ্রান্তি ছড়ালে কিংবা কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায়ভার হবিগঞ্জের কোনো আলেম সমাজ গ্রহণ করবে না। অনেকেই বলেন আমরা জুবায়ের পন্থী। কিন্তু আমরা কোনো পন্থী নই। আমরা ইসলাম পন্থী।
মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা লোকমান সাদি, মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, শামসুল হক মুসা, মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, আবু সালেহ সাদি, মাওলানা আবদাল হোসেন খান, মাওলানা মুখলেছুর রহমান, আইয়ুব বিন সিদ্দিক, শামসুল হুদা, মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন মাওলানা মুনতাসীর আলম সোহান ও মাওলানা মো. জাবের আল হুদা।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেন, সাদপন্থীরা হচ্ছে খৃষ্টান ইহুদিদের এজেন্ট। তাই এদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।