পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’, ছাত্র ইউনিয়নের ক্ষোভ
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে আগামী এক সপ্তাহ এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তবে সব ছাত্র সংগঠন বলায় এর বিরোধীতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসু। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পূর্ণ তুলে ধরা হলো-
গতকালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিটিংয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটভুক্ত (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন) সংগঠনগুলি যায়নি। বয়কট জাতীয় কিছু না। আমাদের প্রত্যেকের সাংগঠনিকভাবে কিছু রিজার্ভেশান তৈরি হয়েছে, সেই জায়গা থেকে বামপন্থীরা কালকের মিটিংয়ে ছিল না। সমন্বয়করা বারংবারই মিটিংয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে যদিও।
কিন্তু আমাদের আশংকা সত্যি করে সকল গণমাধ্যমে খবর দিয়ে বেড়ানো হয়েছে 'সকল ফ্যাসিবাদ-বিরোধী সংগঠন' ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, আমরা যদি অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট না হই তাহলে আমাদের মিটিংয়ে তোড়জোড় করে ডাকা হয় কেন? আর যদি আমরাও অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ক্যাটাগরিতে থাকি, তাহলে 'সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন' কথাটা কি ক্যাটাগরিকালি মিথ্যা না?
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাসের ত্রিশটা দিন থাকে কোথায় কোথায় 'লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি' নিষিদ্ধ করা যায় এই ধান্দায়। তারপর বিভিন্ন জিনিস মাখায়ে আর খাইতে পারে না। এরপর এই 'লেজুড়বৃত্তিক' সংগঠনগুলোরে ডাইকে একটা সর্বদলীয় ঐক্যের আবহ তৈরি করে নিজেদের উপর থেকে চাপ কমায়। এই মিটিংগুলো সিম্পলি রাবার স্ট্যাম্পিং। গতকাল জাহাঙ্গীরনগরে একই মিটিং করেছে। সেখানে বামপন্থীরা এবং ছাত্রদলও মিটিংয়ের বাইরে ছিল। কিন্তু সেটারেও সর্বদলীয় হিসেবে চালায়ে দেওয়া হচ্ছে।
ব্যাপারটা বেশ অশালীন।