মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন : রিজভী

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন : রিজভী
সংগৃহীত

বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।

রিজভী বলেন, সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের দল এমন একটি রাজনৈতিক দল, এর সাথে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, চ্যানেল ২৪ এ প্রকাশিত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সব সাংবাদিক বন্ধুদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশকে কেউ দখল করেনি বরং আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট যারা এতদিন লুটপাট করে কৃষিবিদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর সাধারণ কৃষিবিদদের রোষানল থেকে তারা নিজেদের রক্ষা করতে আত্মগোপন করেছে। উপরন্ত যেখানে দুই বছর পর পর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের নির্বাচনের মাধ্যমে কেআইবি পরিচালনা করার কথা, সেখানে ১৮ বছর নির্বাচনবিহীন জোরপূর্বক তথাকথিত একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান তথা কৃষিবিদদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন জোরপূর্বক দখল করে রাখা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাসিম যারা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন (খুনি শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী) ও কৃষিবিদ সমীর চন্দ (কৃষকলীগের সভাপতি) যারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।  

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এখানে উল্লেখ্য যে, কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, সভাপতি, কৃষক লীগ এবং মশিউর রহমান হুমায়ুন, বিশেষ সহকারী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এর নেতৃত্বে অস্ত্রধারীদের সহায়তায় ১/১১ এরপর ২০০৮ সালে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে অ্যাবের বর্তমান আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। অথচ চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত সংবাদে এই ধরনের কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে হলুদ সাংবাদিকতারই বহিঃপ্রকাশ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রতীয়মান হয়, আওয়ামী লীগের গত ১৮ বছরের প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যারা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন করেছেন তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে মিডিয়া ক্যু এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। শেখ হাসিনার সুবিধাভোগী দোসরদের যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সাধারণ কৃষিবিদরা নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর এবং এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সব কৃষিবিদরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অ্যাবের নেতা কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ নুরুন্নবী ভূইয়া শ্যামল, কৃষিবিদ আনিসুর রহমান আনিস, কৃষিবিদ ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, কৃষিবিদ ফেরদৌস হাওলাদার, কৃষিবিদ কেএম সানোয়ার আলম, কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন পারভেজ প্রমুখ।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়