উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ১ মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হয়, আগে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নির্বাহী আদেশ মুক্ত খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট তাকে মুক্তি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে, এখন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার মেডিকেল বোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন। এখন মেডিকেল বোর্ড তার দীর্ঘ ২০-২২ ঘণ্টার সফরের বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে অনুমতি দিলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছেন। উনার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা ভালো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক , দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে ম্যাডামকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। তখন ভিসা কোনো বাধা হবে না। উনার ভিসা পেতে আধা ঘণ্টা লাগবে। বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে।

বিএনপির একটি সূত্র বলা হয় ,যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত বছর বাংলাদেশ এসে খালেদা জিয়ার লিভারের একটি অপারেশন করে গেছেন। তাই এখন তার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আগের চিকিৎসকদের বিষয়টি বিবেচনা রেখে আমেরিকা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত দিবেন।

সূত্রটি আরও জানায়, পাসপোর্ট অধিদপ্তর গত কয়েক বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে নানা অজুহাতে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল । গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার দিন রাতেই তার নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া হয়।