"মার্চ ফর গাজা" ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের প্রতীক

বাংলাদেশ সবসময় নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে; ন্যায় ও মানবতার পক্ষে।” সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত “মার্চ ফর গাজা” সমাবেশ এই সমর্থন ও সংহতির এক দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আরব বিশ্বসহ অনেক মুসলিম দেশ যা পারেনি, বাংলাদেশ তা করিয়ে দেখিয়েছে।” তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের জনগণের এই উদ্দীপনা ও সংহতির কারণ জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের মুসলমানরা সত্যিকারের ধর্মপরায়ণ, আর এটাই তাদের ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর প্রধান অনুপ্রেরণা।” তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ফিলিস্তিন টিভির একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১৭ মে বাংলাদেশ সফরে আসবে। তারা ‘মার্চ ফর গাজা’সহ অন্যান্য সংহতিমূলক কার্যক্রম নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করবে যা ফিলিস্তিনে সম্প্রচারিত হবে।
এছাড়া, রাষ্ট্রদূত আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি স্মারক পাসপোর্ট ইস্যুর অনুরোধ জানান। উপদেষ্টা বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মোঃ মাহাবুবুর রহমান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) শামীম খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।