সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ১১ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকায় জলবায়ু ধর্মঘট পালিত

ঢাকায় জলবায়ু ধর্মঘট পালিত
সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ঢাকায় জলবায়ু ধর্মঘট পালন করেছেন জলবায়ু কর্মীরা। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাস্তবায়ন হলে ব্যয়বহুল ও দূষিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়বে মন্তব্য করে এটি দ্রুত সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে ধর্মঘটে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ নিয়ে সমাবেশ হয়। ভুয়া সমাধান নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি চাই— শীর্ষক স্লোগানে মুখরিত ছিল সমাবেশস্থল।

বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ সমাবেশে ২০০ জনেরও বেশি তরুণ জলবায়ু কর্মী রঙিন ব্যানার, পোস্টার ও স্লোগানের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন।

বর্তমান পরিকল্পনা জলবায়ু লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এর ফলে দেশের জলবায়ু সংকট আরও গভীর হতে পারে বলে গভীর উদ্বেগ জানানো হয় সমাবেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি-নির্ভর বিদ্যুতে বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে একই দিনে দেশের ৫০টি জেলায় একযোগে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সমাবেশে ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, জলবায়ু সংকটকে বিবেচনায় রেখে আমাদের শক্তি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আইইপিএমপিতে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধা নিশ্চিত করার বদলে দরকার একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ ও স্থানীয় বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটানো পরিকল্পনা। এখন সময় জনগণকে ক্ষমতায়িত করা, নবায়নযোগ্য শক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং ভ্রান্ত সমাধানের যুগের অবসান ঘটানোর।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আইইপিএমপিতে নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের কোনো সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কত কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে, সেটির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে রিনিউয়েবল এনার্জি পলিসি ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় করে আইইপিএমপিকে সংশোধন করতে হবে।

কর্মসূচি থেকে তরুণেরা বাংলাদেশকে জলবায়ুবান্ধব, নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর মহাপরিকল্পনা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়