নাগরিক সেবা নিয়ে ডিএনসিসিতে গণশুনানি

দেশে নাগরিক সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথমবারের মতো গণশুনানি করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ডিএনসিসির হলরুমে এই গণশুনানি শুরু হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, গণশুনানিতে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের আওতাধীন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতা, সোসাইটির নেতা, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং স্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন।
শুনানির শুরুতে ডিএনসিসির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরাপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ৪ নম্বর সড়কের উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এতে এখানকার বাসিন্দারা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমির সোহেল বলেন, গত প্রায় ২ বছর ধরে এ ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ চলছে, এখনও শেষ হয়নি। ২০০ মিটার রাস্তার কাজ করতে পারলে অসংখ্য মানুষ এর মাধ্যমে বড় রাস্তার সঙ্গে কানেক্ট হতে পারবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ের কথা তুলে ধরে শুনানিতে নতুন ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার আহমেদ বলেন, বাসা বাড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রেটে টাকা নেওয়া হয়। এলাকাভেদে বর্জ্য অপসারণের জন্য এক বাসিন্দাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা চার্ট আকারে এলাকায় টাঙিয়ে দেওয়া উচিত। তাহলে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে।
মকিদুর রহমান নামের এক বাসিন্দা বলেন, আব্দুল্লাহপুর খালে ওয়াকওয়ে করে দেওয়া হলে খুব ভালো হয়। এতে করে সাধারণ মানুষ, এলাকাবাসী ভালোভাবে সকালে, বিকেলে হাঁটাচলা করতে পারে।