ধানমন্ডির কাকলি হাইস্কুল ও না.গঞ্জের ডিপিডিসি অফিসে দুদকের অভিযান
রাজধানীর ধানমন্ডির কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নারায়ণগঞ্জের ডিপিডিসি অফিসে হয়রানি ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগসহ নানা ধরনের অনিয়মের কারনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) পৃথক পৃথক অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযানের বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ দপ্তর নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, রাজধানীর ধানমন্ডির কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাস্টার্সের জাল সনদ দিয়ে চাকরি গ্রহণসহ কলেজ পরিচালনায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হয়। তথ্যাবলির প্রাথমিক যাচাইয়ে অভিযোগসমূহের সত্যতা রয়েছে বলে দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নারায়ণগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ সংক্রান্ত নথি অবৈধভাবে আটকে রাখা ও অর্থের বিনিময়ে মিটার প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে এনফোর্সমেন্ট টিম দর্শনার্থী ও গ্রাহক রেজিস্ট্রার বই, নতুন সংযোগ স্থাপনের আবেদনপত্র, বিভিন্ন কাস্টমার প্রোফাইল, বিলের কপি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযানে ওই অফিসে কর্মরত কয়েকজন ব্যক্তির বক্তব্য ও তাৎক্ষণিকভাবে সেবা নিতে আগত গ্রাহকদের বক্তব্য শোনা হয়। রেকর্ড করা বক্তব্য ও সংগ্রহক করা রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা সাপেক্ষে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলাধীন নঙ্গিনাবাড়ী হায়াতুননেছা মহিলা মাদ্রাসা ও নঙ্গিনাবাড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে টিম উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী, প্রত্যাশী সংস্থা, স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে নাগরপুর উপজেলার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপির আওতায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় বাস্তবায়িত ৭৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের সময় প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। প্রকল্পের অধীন অন্যান্য কাজের রেকর্ডপত্র সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের চাহিদাপত্র প্রদান করে দুদক টিম।
অভিযানে পাওয়া তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম তিন অভিযানের বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।