লন্ডনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর) -এর মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল মূলত বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র ও মুক্তির সনদ।
ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এর শ্রেষ্ঠত্ব ও গুরুত্ব আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজ হতে শতবর্ষ পরেও এ ভাষণ সব দেশের সব নিপীড়িত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির দিক-নির্দেশনা হয়ে থাকবে।
হাইকমিশনার ইউনেস্কো থেকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটির ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ও ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এজন্য তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
লন্ডন মিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলস ভাষায় প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এ তিন ভাষায় অনেক সমাদৃত হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিভিন্ন দেশের মহান নেতাদের ঐতিহাসিক বক্তৃতার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে অতুলনীয় ভাষণ হিসেবে অভিহিত করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, কাউন্সিলর মঈন কাদরি, যুক্তরাজ্যে ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আনসার আহমদ উল্লাহ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির শাহিনা আক্তার, আবদুল আহাদ চৌধুরী ও সেলিম আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎর্সগ করে নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতা “স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো" আবৃত্তি করেন শহিদুল ইসলাম সাগর।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে এ উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ উপলক্ষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে একটি বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সকালে হাইকমিশনার হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন।
আ/ম