ডিএমপি কমিশনার
চাঁদাবাজদের তালিকা হচ্ছে, দুই-তিনদিনের মধ্যেই অভিযান
ঢাকা শহরে চাঁদামুক্ত ও চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, চাঁদাবাজি মোকাবিলা করার জন্য শুধু পুলিশ নয়, সমাজের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। কোথায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা করছে, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোক নিম্নবিত্ত ও গরিব। নিত্যপণ্যের দাম যদি চাঁদাবাজির কারণে বৃদ্ধি পায়, তাহলে তাদের আর্থিক কষ্ট হয়। চাঁদাবাজি ঠেকানোর জন্য আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে চাঁদাবাজদের একটি হালনাগাদ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ হলে তাদের গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
‘আমি চাঁদাবাজদের হালনাগাদ একটি লিস্ট তৈরি করছি। লিস্ট সম্পন্ন হলে আমি চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি সকলকে অনুরোধ করব, আপনারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবেন না। আমাকে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য করবেন না।-বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এ জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। তবে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।