শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

আবারও হাসনাত-সারজিসের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা

আবারও হাসনাত-সারজিসের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা
সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের গাড়িতে আবারও চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে রাজধানীর মাতুয়াইল ও গুলিস্তানে দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয় তাকে বহনকারী গাড়ি। মাতুয়াইলে একটি ট্রাক তার গাড়িতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুলিস্তানে আঘাত করে একটি মিনি ট্রাক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ অভিযোগ করেন।  বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে হাসনাত ও সারজিস চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফিরছিলেন। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো গাড়ি ছিল। হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িতে ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলা অংশের চুনতি হাজী রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. তরিকুল ইসলাম ও লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম।

দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়