শপিং মল ও সিটি ব্যাংকের বুথ ভাঙচুর করেছে রিকশা
ব্যাটারিরচালিত রিকশা বন্ধ করা নির্দেশের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করেছেন রিকশা চালকরা। মহাখালী এলাকায়ও আন্দোলন করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। এবং তসরা মহাখালীতে এসকেএস শপিংমল ও সিটি ব্যাংকের একটি বুথ ভাঙচুর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সরেজমিনে দেখা যায়, এসকেএস শপিং মলের দুটি প্রবেশদ্বারে কাঁচের টুকরো পড়ে আছে।
এ বিষয়ে শপিংমলটির নিরাপত্তা কর্মী ইমামা বলেন, বেলা ১১টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া করে শপিং মলের ভেতরে নিয়ে আসে রিকশা চালকরা। তারা রেললাইনের পাথর দিয়ে শপিং মলের গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় শপিং মলের আমানা বিগ বাজার সুপার শপে ও একটি ক্যাফের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।
অন্যদিকে, এসকেএস শপিং মলের সামনে সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।
এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ওই এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, বেলা ১১টার দিকে বড় বড় ইট ও পাথর দিয়ে এটিএম বুথের গ্লাস ভেঙে চুরমার করে দেয় রিকশা চালকরা। আমি তখন এটিএম বুথের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তারা যখন এটিএম বুথে হামলা করে তখন আমি পালিয়ে যাই।
এদিকে মহাখালীতে অবস্থিত রাওয়া ক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও ব্যাপক ভাঙচুর করেছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা। রাওয়া ক্লাবের ভবনের সামনের দেয়ালে ব্যাপক ভাঙচুরের চিহ্ন দেখা যায়।
ক্লাবের ভবনের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নয়ন বলেন, সকাল ১১ টার দিকে একদল অটো রিকশা চালক রেললাইনের পাথর দিয়ে ভবনের গ্লাসে ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় অনেক লোক ছিল। করে আমরা দ্রুত করে ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেই।
রিকশা চালকদের ভাঙচুরের সার্বিক বিষয়ে তেজগাঁও থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর বলেন, সকাল ৯টা থেকে আন্দোলনকারীরা মহাখালী রেললাইন দখল করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বেলা ১১টার দিকে তাদেরকে রেললাইন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা উল্টো সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া দিয়ে এসকেএস শপিংমলের ভেতরে নিয়ে আসে। আর এ সময় তারা এসকেএস শপিংমলসহ রাওয়া ক্লাবে ভাঙচুর করে। আমি সকাল থেকে এখানে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলাম। কয়েক হাজার রিকশাচালক মিলে এ হামলা করে।