দায়মুক্তি পেতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার!
দেশে আইনি কাঠামোতে আনা হচ্ছে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে এই সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অধ্যাদেশটি জারি হলে আদালতে বৈধতার প্রশ্ন তুলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ বা বাতিল করা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। তবে কত দিনের মধ্যে জারি হতে পারে, তা নিশ্চিত এখনো করা জায়নি।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত হবে সরকারের মেয়াদ। বিলুপ্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতোই থাকছে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ কী হবে সেটিও উল্লেখ আছে খসড়া অধ্যাদেশে।
এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অস্থায়ী বা সাময়িক সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় সরকার কাজ করবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং সংবিধান বা অন্য কোনো আইন দিয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহায়তা দেবে। অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তারপর রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করার ব্যবস্থা হবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার মুখের চাপে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমানে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থা এবং প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ বলে কিছু নেই। এ কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, সে জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হবে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।