মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ‘ভালোভাবে নেয়নি’ ভারত

ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ‘ভালোভাবে নেয়নি’ ভারত
সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ‍মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া ভালোভাবে নিতে পারেনি ভারত সরকার।

জানা যায়, ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সদ্য পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের আরেক গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এসব বিষয় উল্লেখ করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলে, এ কারণে জাতিসঙ্ঘের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক না-ও হতে পারে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, জাতিসঙ্ঘে মোদির সাথে ড. ইউনূসের বৈঠকের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে ভারতকে একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখনো ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি। কারণ নিউইয়র্কে মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

বিষয়টির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, ড. ইউনূসের বক্তব্যের জেরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি না-ও হতে পারে। কারণ ড. ইউনূসের বক্তব্য ভালোভাবে নিতে পারেনি দিল্লি।

ড.ইউনূস পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সেগুলো উচিত নয়। তিনি প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানোর আগ পর্যন্ত হাসিনাকে চুপ থাকার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে।

এছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলকে ভারত যে ইসলামিক দল মনে করে সেটিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ওইদিন তিনি ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন।

তার পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এরপর গত ১৬ আগস্ট ড. ইউনূসকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি বাংলাদেশে বসবাস করা সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি উত্থাপন করেন। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিভাবে সামনে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা করেন এই দুই নেতা।

জনপ্রিয়