মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১১ দফা দাবিতে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

১১ দফা দাবিতে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
সংগৃহীত

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, সারা দেশে শিক্ষক লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদসহ ১১ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছি।

বিশেষ করে আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতাসহ বিদ্যমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্যসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আন্দোলন মুলতবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিগত সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি। এ সময় তিনি শিক্ষকদের পক্ষে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হচ্ছে-

১. মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্টকরণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ’ করা।

২. বিদ্যমান শিক্ষা কারিকুলামের পরিবর্তে যুগোপযোগী, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা কারিকুলাম প্রবর্তন করা।

৩. সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া।

৪. সরকারি স্কুলের মতো বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকের ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে উচ্চতর স্কেল দেওয়া।

৫. এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা।

৬. সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা দেওয়াসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা।

৭. শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ।

৮. পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা।

৯. শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

১০. ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা করা।

১১. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, বাহারুল ইসলাম, নাসরিন নাহারসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়