ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
ভারতবিরোধী জনতাকে উস্কানিমূলক দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে।
এই তালিকায় আছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও সারজিস আলম
ডিপ্লোমেটিক নোটে এই ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠজনদেরকেও ভিসা দেওয়ার আগে যাচাইবাছাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূলত, সরকারের উপদেষ্টা হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। মাহফুজ আলম সরকারের অংশ হওয়ার আগেই এই নোটটি পাঠানো হয়। ফলে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হওয়ার পর মাহফুজ আলমের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে কি-না তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারঘনিষ্ঠ একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নুরুল হক নুর ও আখতার হোসেন। অন্যদিকে, পেছন থেকে ভারতবিরোধী চেতনাকে শক্তিশালী করার কাজ করছেন মাহফুজ আলম।
হাসনাত আবদুল্লাহর চিকেন নেক নিয়ে বক্তব্য ও নুসরাত তাবাসসুমের সেভেন সিস্টার নিয়ে ফেসবুকের স্টাটাসকে আমলে নেওয়া হয়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞায়।