বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১৬ জুলাই ২০২৪

কোটা বিরোধী আন্দোলনে 

ঢাবিত গুলিবিদ্ধ ২ শিক্ষার্থী 

ঢাবিত গুলিবিদ্ধ ২ শিক্ষার্থী 
সংগৃহীত

রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুলির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে চানখারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনায় প্রায় ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর আগে বেলা ৩টার পর থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় শহীদুল্লাহ্ হল থেকে চানখারপুল রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে চানখারপুল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এলাকা দখলে নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

জনপ্রিয়