গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পার্বত্য সচিবের শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী।
শনিবার (২১ জুন) টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জনস্বার্থে তিন জেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। সরকারের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে আমরা সদা সোচ্চার থাকবো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তুরী, উপসচিব মোঙ্গল চন্দ্র পাল, উপসচিব (সচিবের পিএস) মো. শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আজিজুল হক, মন্ত্রণালয়ের সহকারী মেইনটেনেন্স ইন্জিনিয়ার হাবিবুল্লাহ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী ১৩ম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল কর্মজীবন শুরু করেন। চাকুরী জীবনের শুরুতে তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে খুলনা ও কুষ্টিয়া কালেক্টরেট এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কুষ্টিয়া কলেক্টরেটে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি মেহেরপুর সদর এবং সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কাজ করেন। চাকরি জীবনে তিনি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায়, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে রাজবাড়ী জেলায় এবং উপপরিচালক হিসেবে বিপিএটিসি, সাভার-এ কাজ করেন। এছাড়া তিনি মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তর, খুলনা এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি পিরোজপুর ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি যুগ্মসচিব এবং অতিরিক্ত সচিব হিসেবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অতিরিক্ত সচিব হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান পদে কর্মরত ছিলেন।