র্যাবের জ্যাকেট পরে ডাকাতি, গ্রেফতার ৫
র্যাব পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাসের ১৯ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতা হামিম ইসলামসহ (৪৫) চক্রের ৫ জনকে বুধবার গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত বাকি ৪ জন হলেন, মো. জিন্নাহ মিয়া (২৭), মো. আমিন হোসেন (৩০), মো. রুবেল ইসলাম (৩৩) ও মো. আশিকুর রহমান (৪২)।
বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর রামপুরা, উত্তরা এবং গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, ২টি খেলনা পিস্তল, ২টি র্যাব জ্যাকেট, ২টি র্যাবের ক্যাপ, ১টি হ্যান্ডকাফ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং ছিনতাইকৃত ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে।
র্যাব জানায়, চক্রের সদস্যরা নিজেদের র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। তারা গাড়িতে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বাহিনীর লোগো সম্বলিত স্টিকার ব্যবহার করতেন। চক্রের কিছু সদস্য ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতেন। আর বাইরে অবস্থানকৃত চক্রের সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত গাড়ি দিয়ে টার্গেট ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করতেন। পরে তারা সুবিধাজনক নির্জন স্থানে টার্গেট ব্যক্তির গাড়ির গতিরোধ করে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যাকেট পরিধান করে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাতেন। এরপর টার্গেট ব্যক্তিকে অপহরণের পর টাকা ছিনিয়ে নিতো চক্রটি।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, গ্রেফতার জিন্নাহ ও আমিন এই ডাকাত চক্রের অন্যতম সদস্য। তারা টার্গেট ব্যক্তিদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গাড়িতে উঠাতেন। গ্রেফতার জিন্নাহর বিরুদ্ধে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং ওই মামলায় তিনি প্রায় ২ বছর করাভোগ করেছেন। গ্রেফতার আশিক এই ডাকাত চক্রের নবীন সদস্য।
তিনি ডাকাতি সংগঠনের পর সম্ভাব্য কোন কোন রাস্তা দিয়ে পালানো সুবিধাজনক হবে তা নির্ধারণ করে চক্রের প্রধান হামিমকে জানাতেন। আশিক গাড়ি চালনোর পাশাপাশি রাজধানীর আশপাশে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করতেন। পরবর্তীতে জিন্নাহর মাধ্যমে হামিমের সঙ্গে পরিচিত হয়ে এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়। মূলত আশিক গাড়ি চালনায় পারদর্শী এবং রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার আঞ্চলিক রাস্তাঘাটগুলো পরিচিত হওয়ায় হামিম আশিককে ডাকাত চক্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।
আ/ম