আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘থানায় থানায় গ্রেপ্তার কোটা’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।
প্রথমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও ধরা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বার্তার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের ধরতে এ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে চার হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বার্তা যাওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থানাগুলোকে একধরনের ‘গ্রেপ্তার কোটা’ বেঁধে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কোটা অনুযায়ী, প্রতিদিন মামলার ডজনখানেক আসামিকে ধরতে বলা হয়েছে।
তবে আসামি গ্রেপ্তারে এমন কোটা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পুলিশের মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
মাঠের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে এবারও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে সরকার বদলের পর তাঁদের আবার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
রাজশাহী রেঞ্জের একটি থানায় কর্মরত এক পুলিশ জানান, জেলা থেকে তাঁদের থানায় গ্রেপ্তারে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১৫ জন করে স্থানীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যে কেউ খেয়ালখুশিমতো মামলা করলে, সেই মামলায় যাকে-তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এমন ঝুঁকি তাঁরা আর নিতে পারবেন না, যে কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁদের জীবন চলে যায়”।