নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চাইলেন জি কে শামীম

অর্থ পাচার আইনের মামলার আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ শুনানি হয়। মামলাটিতে গত ২১ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আদালত মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে আসা তথ্য উল্লেখ করে, তারা দোষী না নিদোর্ষ জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ফলে আদালত আগামী ২৬ জানুয়ারি মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ঠিক করেন।
এর আগে মামলাটিতে ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
শুনানিকালে গ্রহণকালে জি কে শামীমসহ আট আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।
মামলাগুলোর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অস্ত্র মামলায় সাত দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমের বিচার শুরু হয়েছে। এছাড়া, গত বছরের ২১ অক্টোবর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক।