যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ‘চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প একটি পোস্ট করেন। সেখানে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে ‘ভালো ভদ্রলোক’ ও ‘অসাধারণ নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর আরও কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হবে। তিনি লিখেছেন, “আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।”
তিনি দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া একইদিন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি ও বিমান বাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জেমস স্লিফকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ট্রাম্প বলেন, জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনের জায়গায় বিমান বাহিনীর (অবঃ) লেফটেনেন্ট জেনারেল জন ডান কেইনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। যা একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত। কারণ এই সামরিক কর্মকর্তাকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তিনি চার স্টার জেনারেলও না।
নৌবাহিনীর প্রধান লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এবং নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান ছিলেন। ২০২৪ সালেই ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই সামরিক কর্মকর্তার সমালোচনা করেছিলেন। একজন নারীকে নৌবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি অখুশি হয়েছিলেন। তিনি তার বইয়ে লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টিকে নিয়ে লিখেছিলেন, “যদি নৌ কর্মকর্তারা ব্যর্থ হন। আমরা অন্তত মাথা উঁচু রাখতে পারব। কারণ আমাদের অন্তত আরেকজন প্রথম! প্রথম নারী জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ রয়েছে।”
ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগেই সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করে সেটির সূচনা করেছেন তিনি।