বাংলাদেশে হিন্দুরা বসবাস করছেন, তেমনই অন্য দেশেও মুসলমানরা রয়েছেন
বাংলাদেশে বর্তমানে বসবাসরত হিন্দুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে বার্তা দিলেন দ্বারকা শংকরাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে তাদের দেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে হবে... তাদের এটা বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশে হিন্দুরা যেমন বসবাস করছেন, তেমনই অন্যান্য দেশেও মুসলমানরা বসবাস করছেন। প্রতিটি দেশের সরকারের দায়িত্ব তার সব নাগরিকের সুরক্ষা দেয়া। বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এই সহিংসতা বন্ধ করার জন্য এবং যারা এর পেছনে রয়েছে তাদের শাস্তি দিতে হবে,’।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এ খবর প্রকাশ করেছে ডেকান হেরাল্ড।
এদিকে, ভারতে বিরোধীদল কংগ্রেস-এর সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সম্প্রতি বলেন, ‘আপনারা কি এবার লালকেল্লা, তাজমহল, গোল গুম্বজ ভেঙে ফেলবেন?’ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে আপত্তি জানানোর প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্যটি করেন। তিনি নরেন্দ্র মোদির সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, এই সরকার ঐতিহ্য ও বহুত্ববাদ ধ্বংস করছে এবং বৈচিত্র্যের প্রতি অসহিষ্ণু। খাড়গে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম দ্য ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক সৌধ ভেঙে ফেলা বিজেপির মতাদর্শের একটি অংশ হয়ে উঠছে, যা ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর আঘাত।
তিনি মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আপনারা কি এবার লালকেল্লা, তাজমহল, গোল গুম্বজ ভেঙে ফেলবেন?’ খাড়গে অভিযোগ করেন, দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক ঘৃণ্য স্বার্থে বিকৃত বা ধ্বংস করা হচ্ছে।
এর আগে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা করেছিল বলেই মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন।
নয়াদিল্লির টকটোরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নারী কংগ্রেসের জাতীয় সম্মেলনে খাড়গে বলেন, 'আপনারা জিজ্ঞাসা করেন, কংগ্রেস ৭০ বছরে কী করেছে? আমরা গণতন্ত্র রক্ষা করেছি। তাই আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন।'
তিনি মনিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে মোদিকে আক্রমণ করেন এবং বলেন, 'রাহুল গান্ধী 'ভারত জোড়ো' বলেন, আর মোদি 'ভারত তোরো'তে বিশ্বাস করেন।' তিনি আরও বলেন, '১৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ২০২৪ সালেও লালকেল্লায় তেরঙ্গা ওড়াবেন। আমি মনে করি, তিনি তেরঙ্গা ওড়াবেন, তবে লালকেল্লায় নয়, নিজের বাড়িতে।'