ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫১ জন নিহত
ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর পোলতাভায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৭১ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারের এই হামলাটিকে যুদ্ধের সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণগুলোর একটি বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
কিয়েভ কর্মকর্তারা বলছেন, আড়াই বছরের যুদ্ধে এটি ছিলো অন্যতম মারাত্মক রুশ হামলা। কিয়েভ থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত তিন লাখ জনসংখ্যার নগরী পোলতাভায় মঙ্গলবার সকালে এ হামলা হয়।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পোলতাভার সামরিক ইনস্টিটিউটে হামলায় বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের মধ্যে কতোজন সামরিক এবং কতোজন বেসামরিক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি কিয়েভ।
সেনা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা সাহসী ইউক্রেনীয়, আমাদের ভাই ও বোন, সেনাদের হারিয়েছি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার তথ্য ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের মধ্যে সময়ের ব্যবধান এতই কম ছিলো যে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
হামলার পরপরই এই ঘটনার জন্য ‘রুশ দুষ্কৃতকারীদের’ দায়ী করে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, পোলতাভা শহরে একটি সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র দুটি আঘাত করে। এতে আহত ও নিহতদের মধ্যে অনেককে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করা হয়েছে।
বিবিসির কাছে এই হামলার ঘটনাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরটিতে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগে সাইরেন বাজিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বোমা আশ্রয়কেন্দ্র যাওয়ার পথেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখোমুখি হন অনেকে।
তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনকে বাঁচাতে সক্ষম হন। তাদের মধ্যে ১১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল।