করোনাকালীন সময়ে বাইডেন প্রশাসনের চাপে মেটার কনটেন্ট সেন্সর করা হয়েছিল

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, করোনাভাইরাস মহামারির সময় বাইডেন প্রশাসনের চাপের কারণে তিনি কিছু কনটেন্ট সেন্সর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। একটি মার্কিন হাউস কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে জাকারবার্গ উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা, যার মধ্যে হোয়াইট হাউসের কিছু কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত, মেটাকে কিছু কনটেন্ট সরিয়ে নিতে চাপ দিয়েছিলেন।

হোয়াইট হাউস এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে যে, তারা জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দায়িত্বশীল পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে, জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন যে, তাদের সিদ্ধান্তের কিছু ছিল ভুল এবং এই ধরনের চাপের মুখে পড়ে ভবিষ্যতে তারা আরও সাবধান থাকবেন।

হান্টার বাইডেন কনট্রোভার্সি

জাকারবার্গ তার চিঠিতে ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের সাথে সম্পর্কিত কনটেন্ট নিয়ে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচনের আগে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপ কেলেঙ্কারির বিষয়টি ডিমোট করা হয়েছিল, যার পেছনে এফবিআই-এর একটি সম্ভাব্য রাশিয়ান অপপ্রচারের সতর্কবাণী কাজ করেছিল। তবে, পরে এটি দেখা গেছে যে, সেই কনটেন্ট কোনো রাশিয়ান অপপ্রচার ছিল না। জাকারবার্গ বলেন, "পুনরায় চিন্তা করলে, আমরা সেই গল্পটি ডিমোট করা উচিত ছিল না।"

ভবিষ্যতে নিরপেক্ষ থাকার প্রতিশ্রুতি

জাকারবার্গ আরও বলেন যে, তিনি ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনী অবকাঠামোতে সহায়তা করার জন্য আর কোনো আর্থিক অবদান রাখার পরিকল্পনা করছেন না। ২০২০ সালে, তিনি চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে $৪০০ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন যা মহামারির সময় নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করতে সরকারি অফিসগুলোর জন্য প্রদান করা হয়েছিল। তবে, সেই দানের কারণে তাকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়, কিছু মানুষ অভিযোগ করে যে, তিনি বাইডেনকে নির্বাচিত করতে এই দানটি ব্যবহার করেছেন। জাকারবার্গ বলেন, তার দানগুলি "নিরপেক্ষ" ছিল এবং তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অবদান রাখার ইচ্ছা রাখেন না।