বাংলাদেশের থেকে শেখ হাসিনাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে ভারত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান রূপ নেওয়ার পর ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ঐদিন ছাত্র-জনতা যখন তার সরকারি বাসভবনের দিকে এগিয়ে আসছিল তখন তিনি গোপনে ভারতে পালিয়ে যান ।

গত জুন মাসে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সারা দেশে ছয়জন নিহত হয় তখন এটি সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। তারপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে।

শেখ হাসিনার পতনের বিষয়টি ভারতে আশঙ্কা তৈরি করে। কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় মিত্র।

ভারতীয় লেখক সম্পাদক রাহুল ত্রিপাঠী ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স-২৪ কে বলেছেন, ভারত সরকার শেখ হাসিনার ওপর অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছে আর বাংলাদেশের ওপর কম বিনিয়োগ করেছে। এ কারণেই দেশটি এখন এমন আশঙ্কা পড়েছে।

সংবাদমাধ্যমটিতে বলেছে যে , গভীর সম্পর্ক গড়ার কারনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়ই তাদের নিজ দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণকে উপেক্ষা করেছেন।

শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ও নির্যাতন ব্যাপারে যে সতর্কতা দিয়েছে সেটিকে ভণ্ডামি হিসেবে অভিহিত করেছে ফ্রান্স-২৪।

সংবামাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরেই তৈরি হচ্ছিল। সরকারি চাকরির কোটার সংস্কার নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন তার শাসন অবসানের পথ তৈরি করেছে। গত ৭ জানুয়ারি যখন তিনি অস্বচ্ছ নির্বাচন করার মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন তখন সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে একটি ‘অস্বচ্ছ’ নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন । কিন্তু উপমহাদেশীয় পরাশক্তি ভারত ও চীন শেখ হাসিনাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শুভেচ্ছা জানায়।

বিশেষ করে নির্বাচন শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটটি ছিল ন্যাক্কারজনক। দেশের মানুষ ও বিরোধী দল নির্বাচনটি বয়কট করলেও মোদি শেখ হাসিনা এমনকি বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেন।