রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

আন্তজার্তিক ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১৪ জুলাই ২০২৪

গাজার ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৯০

গাজার ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৯০
সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ‘সেফ জোনে’ মাওয়াসিতে ইসরায়েলের ভয়াবহ চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে আরও দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন।

রবিবার (১৪ জুলাই) হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খবর আল জাজিরা ও বিবিসি।

হামাস জানায়, হামলা চালানো আল-মাওয়াসির এলাকাকে ইসরায়েল ‘সেফ জোন‘ হিসেবে ঘোষণা করেছিল এবং ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার দাবি, তারা হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ও উপ-প্রধান রাফা সালমাকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালিয়েছে। তাদের হামলাটি একটি উন্মুক্ত এলাকায় চালানো হয়েছে যেখানে শুধু হামাস সন্ত্রাসীরাই ছিল, কোনো বেসামরিক ফিলিস্তিনি ছিল না।

গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘তাদের দুইজনের (মোহাম্মদ দেইফ ও রাফা সালমা) কেউ নিহত হয়েছেন কি না- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, চারদিকে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। আগুন জ্বলছে। রক্তাক্ত ফিলিস্তিনিদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকে আর্তনাদ করছেন। আবার কেউ সেখানে থেকে ‘নিরাপদ স্থানে’ যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়