ইউক্রেনে জয়ী হতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই : পুতিন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বিজয় নিশ্চিত করতে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ খবরটি প্রকাশ করেছে আন্তজার্তিক গণমাধ্যম রয়টার্স।
জানা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর কয়েক মাসের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড রক্ষার জন্য তথা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে মডারেটর ও প্রভাবশালী রাশিয়ান বিশ্লেষক সের্গেই কারাগানভ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার উচিত কিনা জানতে চাইলে জবাবে পুতিন বলেন, তিনি এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পরিস্থিতি এখনও দেখেন না।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কেবল ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই সম্ভব - দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকির ক্ষেত্রে। আমি মনে করি না, এমন কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি এখনও হয়েছে। এমন অস্ত্র ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন নেই।’
রাশিয়ার পারমাণবিক মতবাদ পরিবর্তন না করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন না বলে পুতিন জানিয়েছেন। মূলত কোন ধরনের পরিস্থিতিতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে সেটিই এই মতবাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে থাকে।
পুতিন আরও বলেন, প্রয়োজনে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে, যদিও তিনি বর্তমান সময়ে এমন কিছু করার প্রয়োজন দেখেন না।
রয়টার্স বলছে, গত বছর কারাগানভ ইউরোপে ন্যাটো সদস্যদের ওপর সীমিত পরমাণু হামলার প্রস্তাব করেছিলেন, যাতে তারা ইউক্রেনের সংঘাতে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
পুতিন জানান, চলতি বছরের শুরু থেকে রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের সামনের সারিতে অগ্রসর হচ্ছে, তারা ৪৭টি গ্রাম ও শহরসহ ৮৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে।
এরআগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বুধবার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর সিনিয়র সম্পাদকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন পুতিন। যেখানে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে আঘাত হানার অনুমতি দিলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের বিরুদ্ধে কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের হুমকি দেন পুতিন।