শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আন্তজার্তিক ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ১ জুন ২০২৪

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলের, মেনে নেয়ার আহ্বান বাইডেনের

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলের, মেনে নেয়ার আহ্বান বাইডেনের
জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য হামাসকে নতুন ইসরায়েলি প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ মে) তেলআবিবের তিন ধাপ বিশিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। এরইমধ্যে হামাসকে প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে মধ্যস্থতাকারী কাতার। ফিরতি বার্তায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পর্যবেক্ষণের কথাও জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। হামাস নির্দিষ্টসংখ্যক জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এছাড়া গাজার সব এলাকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফেরার সুযোগ পাবে। এছাড়াও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানোর কথাও  প্রস্তাবটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট জিম্মি ও সেনাসহ বাকিদের মুক্তি দেবে হামাস। গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকেও সরিয়ে নেওয়া হবে যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’ উন্নীত করা হবে। যুদ্ধবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা চলমান থাকবে। আলোচনা সফল হলে পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা শুরু হবে। 

তৃতীয় পর্যায়ে গাজার জন্য বাস্তবায়ন শুরু করা হবে বড় ধরনের ‘পুনর্গঠন পরিকল্পনা’। মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের দেহাবশেষও ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, মার্কিন কূটনৈতিক তৎপরতায়, কাতার ও মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন একটি সমন্বিত প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও সব জিম্মি মুক্তির রোডম্যাপ রয়েছে। আমি জানি, ইসরায়েলেই এমন অনেকে আছে যারা চুক্তিটিতে সমর্থন দেবে না। সরকারি জোটেই অনেকে স্পষ্ট করেছেন, বছরের পর বছর হামলা চালিয়ে গাজা দখল করতে চান। জিম্মি উদ্ধার তাদের অগ্রাধিকার নয়। যেকোনো চাপের পরও ইসরায়েলি নেতৃত্বের প্রতি চুক্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

ই/শ

জনপ্রিয়