১৪ দিন পর চালু হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতা ঘিরে বন্ধ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ১৪ দিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে তুলে নেওয়ার পর চালু হয় এগুলো। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো মাধ্যমগুলোর ওপর জারি করা সরকারি বিধিনিষেধ
এদিন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের প্রতিনিধিধের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এদিকে প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরই চালু হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম। তবে মাধ্যগুলো ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিটিআরসির পক্ষ থেকে যেসব স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়ে সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম, সার্বিক বিবেচনা করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়িক সম্প্রদায়, স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকদের কথা চিন্তা করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছি, সেই বিধিনিষেধ আমরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমরা আর কোনো বাধা রাখছি না। সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। এরপর থেকেই দেশের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছিলেন না।
পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সেবা চালু হয়। পরে বাসাবাড়িতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।
বন্ধের ১১ দিন পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেটও। তবে সেবা চালু হলেও মিলছে না স্বাভাবিক গতি। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব চালু হবে। ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কাজ শুরু করেছে। স্বাভাবিক হবে ইন্টারনেটের গতিও। সর্বোচ্চ গতি নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলছে।
গত ২৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ৩১ জুলাই সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়। টিকটক চিঠির জবাব দিলেও ফেসবুক জবাব দেয়নি বলে জানা যায়।