মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০২, ১৭ আগস্ট ২০২৪

এমপক্স নিয়ে হটলাইন চালু করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

এমপক্স নিয়ে হটলাইন চালু করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ফাইল ছবি

পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পদক্ষেপ হিসেবে হটলাইন চালু করেছে। কারো মাঙ্কিপক্সের লক্ষ্মণ দেখা গেলে দ্রুততম সময়ে মধ্যে সন্দেহভাজনদের ১৬২৬৩ এবং ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, কেনিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। আপনার শরীরে এর কোনো লক্ষ্মণ হলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে , অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা দিলে ১৬২৬৩, ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করুন।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এমপক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা বিভিন্ন ভাবে জারি করেছে। এতে বলা হয় যে, মাঙ্কিপক্স একপ্রকার সংক্রামক রোগ। এর রোগের উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লু’র মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারেন।

জানা গেছে, স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে, ক্ল্যাড- ১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। এই রোগে প্রতি ১০০ আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয় ৪ জনের বলে জানা যায়।

রোগটির লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম দিকে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপশি শরীরে দেখা দেয় ফোসকা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা।

মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি বলে জানা যায়। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর হতে পারে।

জনপ্রিয়