বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বিনোদন ডেস্ক :

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভারতে দশম আন্তর্জাতিক নৃত্য এবং সঙ্গীত উৎসবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ভারতে দশম আন্তর্জাতিক নৃত্য এবং সঙ্গীত উৎসবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ চলাকালীন  দশম আন্তর্জাতিক নৃত্য এবং সঙ্গীত উৎসবে অংশ নিলো বাংলাদেশ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের এক অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি নৃত্য পরিবেশনকারী দল এসে পৌঁছেছে প্রয়াগরাজে। সঙ্গম এলাকার ১ নং সেক্টরে গঙ্গা মণ্ডপে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হল রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, কিরগিস্তান, ফিজি, মালয়শিয়া, মলদ্বীপ, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাওয়ান্ডা। 

এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল কে. নন্দিনী সিংলা বলেন, 'সাংস্কৃতিক যোগ কখনও থেমে থাকে না। সরকার আসবে, যাবে, রাজনীতি বদলাবে, নেতা বদল হবে, তবে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোগ কখনও ম্লান হয় না। এটা এক আবেগ। কোনও রাজনৈতিক নেতা এসে এই আবেগে পরিবর্তন ঘটাতে পারেন না। যে যে দেশ তাদের দল পাঠায়, তারা নিজেদের বিমান ভাড়া দেয়। এরপর এখানে আসার পরে তাদের যাবতীয় খরচ এবং প্রয়োজন আমরা মেটাই।'

এদিকে বাংলাদেশি দলের নেতৃত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর রাসেল প্রিয়াঙ্কা পার্সিস প্রয়াগরাজে আসা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা সৌভাগ্যবান যে এখানে এসে মহাকুম্ভে অংশ নিতে পেরেছি। আমন্ত্রণের জন্য আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে কৃতজ্ঞ।' 

এছাড়াও তিনি বলেন যে,'আমাদের ভিসা পেতে কোনও সমস্যা হয়নি।' তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মৌসুমী, লাবনী, রিনি, রাইসা এবং পিঙ্কি। 
বাংলাদেশের দলটি ধর্মীয় গল্প, কবিতা এবং সঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে গৌড়ীয় নৃত্য প্রদর্শন করে। ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে তাদের দুই দিনের পরিবেশনার পর, প্রতিনিধিদলটির এই মাসের শেষের দিকে দিল্লি, গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম এবং মেঘালয়ে পরিবেশনার কথা রয়েছে। দশম ভারত আন্তর্জাতিক নৃত্য ও সঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধনী অধিবেশনে কুম্ভের ১৩,০০০ আসন বিশিষ্ট গঙ্গা মণ্ডপে বাংলাদেশের ছয় সদস্যের  নৃত্যদলটি নৃত্য পরিবেশন করে।

উত্তর প্রদেশ সরকার এবং বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে কাজ করা ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (ICCR) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অন্যান্য সমস্ত দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও এই ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েছে বলে ICCR-এর মহাপরিচালক কে. নন্দিনী সিংলা বলেন। বিভিন্ন কারণে দু-দেশের সম্পর্ক যে টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে, সেখানে মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরিতে সংস্কৃতির যে অপার ভূমিকা সেটাই প্রমাণিত হল। ফলে নতুন করে আশার আলো দেখছেন দুই পারের শিল্পীরা।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়