ডাকাত ঠেকাতে বটি হাতে নিয়ে বাঁধনের পাহারা
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতে ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমেও এ খবর উঠে এসেছে। ডাকাত ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এসময় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকেও বটি হাতে রাতে পাহারা দিতে দেখা যায়।
ডাকাত প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাতভর বটি নিয়ে এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বাঁধন। ফেসবুক স্টোরিতে বটি হাতে ছবি পোস্ট করে বাঁধন লিখেছেন, ‘মাঝরাত’। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী মোহনা সুলতানা জুঁই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই সোচ্চার অবস্থানে ছিলেন আজমেরি হক বাঁধন। আগস্টের প্রথম দিন বিনোদন অঙ্গনের শিল্পীদের দুটি দলে বিভক্ত হতে দেখা যায়। একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অন্য একটি পক্ষ গিয়েছিলেন বিটিভির ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে।
বৃষ্টিতে ভিজে সেদিন বাঁধন ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ করতে রাজপথে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার তাকে দেখা গেল বটি হাতে পাহারা দিতে।
এ সময় বাঁধন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কিছু সুবিধাবাদী মানুষ লুঠ করেছেন, কিছু সাম্প্রদায়িক, উগ্র চিন্তার মানুষ আছেন, যাঁরা এই আন্দোলনকে ঢাল বানিয়ে নিজেদের এজেন্ডাকে পূরণ করতে চেয়েছেন। জানি না, আমাদের এখানকার কিছু সংবাদমাধ্যম ছাড়া সকলে সঠিকটা দেখাচ্ছেন কিনা! ওঁরাও তো অন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
‘যে ধরনের সহিংসতা ঘটেছে সেটার জন্য আমরা অবশ্যই দুঃখিত। আমি চাই এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক, এখানে কেউ সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নন। বাংলাদেশে যাঁরা জন্মেছেন, দেশটা সবার, আমরা সবাই বাংলাদেশী। আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রিশ্চান-আদিবাসী, কেউ আলাদা নই। আমরা এমন রাষ্ট দেখতে চাই, যেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। ছাত্রদের স্পিরিটকে কাজ লাগাতে পারলে, তাঁরাই আমাদের পথপ্রদর্শক হবেন। আমি এবং আমরা বারবার বলছি আমরা ছাত্রদের কাছে কৃতজ্ঞ।’, জানিয়েছেন বাঁধন।