নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

ঢাকায় অবস্থানরত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও নবীন প্রকৌশলীরা একত্রিত হয়ে স্মৃতিচারণ ও পেশাগত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
অনেক দিন পর পুরনো বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন উপস্থিত সবাই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তারা নিজেদের বর্তমান কর্মজীবন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পুনর্মিলনীতে অংশ নেন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী, সরকারি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যাংক-বীমা খাতের পেশাজীবী, সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা। তারা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হলে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশক ভূমিকা পালন করবে।
আইইউবিএটির সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস আনাম জীবন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন। ভবিষ্যতে আমরা বৃহত্তর পরিসরে পুনর্মিলনী আয়োজনের পাশাপাশি জুনিয়রদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার (ডেপুটি ডিরেক্টর, আইসিটি) মাহমুদ মুনিম বলেন, অনেকদিন পর অনেকের সঙ্গে দেখা হলো। সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা সত্যিই আনন্দের বিষয়। ভবিষ্যতে আমরা যেন একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি, সেটাই প্রত্যাশা।
একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ অ্যানালিস্ট ও সদ্য সাবেক শিক্ষার্থী জাসমিন জেরিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়র ভাই-বোনদের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয়নি। এ আয়োজনে তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগছে। তাদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। এ ধরনের আয়োজন আরও হওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, এখনো পর্যন্ত সিএসই বিভাগের কোনো এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়নি, যা তাদের জন্য হতাশার বিষয়। তারা মনে করেন, একটি সংগঠিত এলামনাই নেটওয়ার্ক থাকলে একত্রিত থাকার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।
আলোচনা ও ইফতারের পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে গ্রুপ ফটোসেশনের মাধ্যমে। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যাশা করেন, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন মিলনমেলা আয়োজন করা হবে, যা সবার জন্য আরও উপকারী হবে।