নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা ও ইফতার

ঢাকা ও ময়মনসিংহে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ও ময়মনসিংহের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন পর পরিচিত মুখগুলো একসাথে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। পুরনো বন্ধু, সহপাঠী ও শিক্ষকদের স্মৃতিচারণে মিলনমেলা পরিণত হয় আনন্দঘন এক আয়োজনে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া আরব আমিরাত দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক লালন আলতাপ বলেন, পরিচিত মুখগুলোকে একসাথে দেখে মনে হচ্ছিল, আবার ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়েছি। এতদিনের ক্লান্তি যেন মুহূর্তেই দূর হয়ে গেল।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ বলেন, এই পুনর্মিলনীতে যোগ দিয়ে মনে হলো, আমরা এখনো একই পরিবার। পুরনো দিনগুলো মনে পড়ে গেল।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস আনাম জীবন বলেন, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, নজরুলিয়ানদের বন্ধন কতটা গভীর।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার (ডেপুটি ডিরেক্টর, আইসিটি) মাহমুদ মুনিম বলেন, অনেকের সঙ্গে দেখা হলো দীর্ঘ সময় পর। প্রত্যাশা করি, আমরা সবসময় একে অপরের পাশে থাকবো।
পুনর্মিলনীতে অংশ নেওয়া ময়মনসিংহের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিব ইসলাম বলেন, এই আয়োজন নজরুলিয়ানদের একত্রিত হওয়ার একটি প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতে আমরা আরও বৃহৎ পরিসরে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।
আবদুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মিশকাত আল হারুন বলেন, প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহে পুনর্মিলনী আয়োজন এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা চাই, এর পরিধি আরও বাড়ুক।
শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজের শিক্ষক বাঁধন আরা মিল্কি বলেন, এবার দুটি ভিন্ন স্থানে আয়োজন হওয়ায় নজরুলিয়ানদের মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় হয়েছে।
পাশাপাশি,স্মৃতি ধরে রাখতে সাবেক শিক্ষার্থীরা ফটোসেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করেন।