রোববার ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১

বাকৃবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধর, বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধর, বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
সংগৃহীত

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষকের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুই শিক্ষকের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও অপর এক শিক্ষকের বাসায় ভাঙচুরের করা হয়। 

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ক্যাম্পাসে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

হামলায় আহত শিক্ষকের নাম মো. রিজওয়ানুল হক। তিনি প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় তিনিসহ আরও দুই শিক্ষকের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

হামলার প্রসঙ্গে রিজওয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব থেকে বাসায় ফিরছিলাম। ওই সময় একটি মোটরসাইকেলে তিন দুর্বৃত্ত আমার পিছু নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তারা আমার ওপর হামলা চালায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা আমাকে আবারও আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি লাথি দেয় এবং ঘুষি দিতে থাকে। হামলার পর আমার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।’

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজওয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর একজন শিক্ষককে এভাবে মারধর করা হলো, অথচ নিরাপত্তাকর্মীদের দেখা মেলেনি। প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালেও তদন্ত বা বিচার নিয়ে কোনও আশ্বাস দেয়নি। প্রক্টরিয়াল বডি আমার বাসায় এসে শুধু বলেছেন যে বিষয়টি দুঃখজনক। এ ছাড়া যখন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন প্রক্টরিয়াল বডি আমার বাসাতে উপস্থিত ছিলেন।’

একই রাতে ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক আফরিনা মুস্তারীর বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল আলমের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয় বলে দাবি করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। আফরিনা মুস্তারী বলেন, ‘গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে আমার বাসার সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। গভীর রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ভেতরে ককটেল নিয়ে কেউ কীভাবে অবাধে চলে আসতে পারে, সেটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের তাহলে কাজটা কী?’

জনপ্রিয়