নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রদ্ধা-স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন কলা অনুষদের ডিন ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। এর আগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে 'চির উন্নত মম শির' স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষদীয় ডিন, শিক্ষক সমিতি এবং অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল।
উপাচার্য তার বক্তব্যে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,
কাল রাত থেকেই অপারেশন সার্চ লাইটের মধ্য দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরি ও হত্যা করা শুরু হয়। পরবর্তীতে একাত্তরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় কারফিউ জারি করে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাঙালি জাতিকে মেধা ও নেতৃত্ব শূণ্য করতেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এদেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে এবং কখনও যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যেই তারা এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। আজকের এইদিন একদিকে শোকাবহ এবং অপরদিকে অনুপ্রেরণার উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আমরা শহীদদের আত্মত্যাগকে সার্থক করে তুলতে পারবো।
নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।