অবৈধ নিয়োগের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সার্কুলার ছাড়াই ও নিয়োগের আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সহকারী নিয়োগ বাতিল না করার পক্ষে অনড় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর। নিয়োগ বাতিলের জন্য আজ তৃতীয় দিনে মানববন্ধন ও উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অতিবিলম্বে নিয়োগ বাতিল করতে হুশিয়ারি দেন। মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, আপনারা অবগত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ব্যাক্তিগত সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সার্কুলার ছাড়াই। যেটা সম্পূর্ণ উপাচার্যের ব্যাক্তিগত মদদে। উনি চাচ্ছেন এটা তার ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় এখানে আপনারা কথা বলার কে? তার মানে ৫ হাজার হোক ১০ হাজার শিক্ষার্থী হোক তাদের বাদ দিয়ে উনি একজন দোসরকে বসাতে চাচ্ছেন।
তারা আরও বলেন , 'ড. কলিমুল্লাহ এর প্রেসক্রিপশনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন না নিয়োগের আগে নবীনবরণের দিন ভিসির সাথে থাকছে। যেখানে আমাদের স্বনামধন্য ডিনরা নিচে বসে থাকে, সেখানে শিক্ষক - কর্মকর্তাদের তুলে দিয়ে ওরে বসতে দেওয়া লাগলো কেন?যেখানে নিয়োগই হয়নি সেখানে আমাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করল কেন?নিয়োগের আগে উপাচার্য বাসভবনের অবস্থান করল কেন? এর কি ক্লিয়ারেন্স দিতে পারবেন? নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলছেন তিনি নাকি জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন। কেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ নেই? বেরোবি থেকে কোন নিয়ম না মেনেই নিয়োগ দিতে হবে?? তিনি মনে করছেন নিজের ইচ্ছা মতো যা চাই তাই করবে আর আনরা মেনে নিব। ইউজিসি যেখানে বলছে নিয়োগ দিতে হলে বোর্ড গঠন করে, যাচাই বাঁচাই করে বিভিন্ন প্রসিডিওর এর মধ্যে দিয়ে যেয়ে নিয়োগ দিতে হবে। সেখানে তিনি বলেন তিনি বৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন!! তাহলে ইউজিসি কি ভুল বলছে?? আমরা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, কোনো অজুহাতে অবৈধ নিয়োগকৃতকে রাখতে দেওয়া হবে না। অতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। নাহলে নিয়োগ কৃত তোফায়েল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।"
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মোঃ হোসেন উদ্দিন শেখরের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি।