হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহবান ডা. শফিকুর
“১৯৭১ সালেন যুদ্ধাপরাধী বাছাই করতে গিয়ে দফায় দফায় সতর্কতার সাথে শেখ মুজিবুরের সরকার কাজ করে, ১৯৫ জনকে তালিকাভূক্ত করেছিল। সেখানে বর্তমান বাংলাদেশের এই সীমানার কোনো নাগরিকের নাম ছিল না” বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নীলফামারী পৌরসভা মাঠে জেলা জামায়াতের এক কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতকে উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রতবেশীকে কষ্ট দিলে অনুরূপ কষ্ট পাবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিবেশীকে ডিসটার্ব করায় তার দল বিশ্বাস করে না। একইভাবে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকেও সুপ্রতিবেশী সুলভ আচরন প্রত্যাশা করেন। তিনি আরো বলেন,শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে দেড়শ এর বেশী মামলা রয়েছে। আদালত যখন চাইবে শেখ হাসিনাকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তীতে কোন খুন হয়েছে। পাঁচ বা ছয় আগস্ট বাংলাদেশের এই পাঁচ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ৫০ হাজার ৫ হাজার বা ৫০০ মানুষকেও হত্যা করা হয়নি। এই দুই দিনে চলে যাওয়ার পরে মব জাস্টিসে কেউ কেউ হত্যা করেছে চারজন মানুষকে। আমরা তারও নিন্দা জানিয়েছি। আমরা চাই না বিনা বিচারে একটা মানুষকেও খুন করা হোক। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট হতে পারে, নির্দয় হতে পারে, পাষাণ হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং দেশ প্রেমিক। এটি বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে।
তিনি আরো বলেন,সাবেক সরকারের সড়ক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বক্তব্যের শুরুতেই দাম্ভিকতা প্রদর্শন করতেন। অহংকার দেখাতেন। বিভিন্ন দল ও মতের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে উপহাস করতেন। তিনি বলেছিলেন যে, তার দলের নেতাকর্মীকে যে কোনো মূল্যেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের যদি ক্ষমতার পতন হয়, তাহলে পতনের দুই দিনের মাথায় আওয়ামী লীগের ৫ লাখ মানুষকে বিরোধীদলের লোকেরা হত্যা করবে।
নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বেলাল, নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকারসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার আমীরগন বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আন্তাজুল ইসলাম।