শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান

রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান
সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে রাজনীতি থাকা আবশ্যক। আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ হবো, কিন্তু তার আগে নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাজনীতি হল নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব। যদি কেউ বলে, 'আমার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে', তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবশ্যই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই?' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, যদি ছাত্ররা তাদের মতামত প্রকাশ না করতো, তাহলে ১৯৪৭ সালে দেশভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের বিপ্লব ঘটতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি না হলে, কোথাও রাজনীতি হবে না। এটি রাজনীতি চর্চার এবং শেখার জায়গা। কিন্তু  রাজনীতি বলতে যদি মনে করেন সহিংসতা, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় সহিংসতা করার জায়গা নয়। 

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, মেধাকে একটি স্বাধীন ভেরিয়েবল হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। যার মেধা আছে সে উচ্চশিক্ষা নেবে, আর যার মেধা নেই সে শিক্ষার সঠিক জায়গা পাবেনা। এটি বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থার পরিচায়ক। যদি আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ না করি এবং জাতি বা রাষ্ট্র এর দায় না নেয়, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী হবে না। আমাদের ট্যাক্সের অর্থে অবৈতনিক এবং সামর্থ্য অনুসারে বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে শক্তিশালী করতে হলে, গণতান্ত্রিক হতে হবে এবং সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তারানা নূপুর, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

জনপ্রিয়