সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বর্ণা দাস হত্যাসহ সকল সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে কুটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সকল হত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা। সীমান্তে যেনো আর একটিও হত্যা না হয় এর বিষয়ে হুশিয়ারি করেন তারা এবং এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানায়।
এই প্রতিবাদ মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ', 'সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো', 'আমাদের সংগ্রাম, চলছেই চলবেই' সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে নজরুল ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন ভবন পযর্ন্ত যায়।
সীমান্তে সকল হত্যার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঐশ্বর্য হৃদয় বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত হত্যা দেখতে দেখতে স্তব্ধ। সর্বশেষ স্বর্ণা দাস সীমান্ত হত্যা। এটাকেও সর্বশেষ বলার সুযোগ নেই। আমরা যখন এখানে দাড়িয়ে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছি, তখনো যে সীমান্তে হত্যা কাণ্ড সংঘটিত হচ্ছেনা, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিতে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করার কথা বলেন। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে কঠোর পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণের দাবি জানান।
শিক্ষার্থী জেনাস ভৌমিক বলেন, যেই মুহূর্তে আমরা এখানে দাড়িয়ে আন্দোলন করছি, ঠিক তখনই ভারতীয় সীমান্তে কেউ নিহত হয়ে যেতে পারে। এমনকি এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। এখানে যেই সংগ্রামী সাথীরা উপস্থিত আছেন তাদের কাছে আমার আহ্বান ভারতীয় এ ধরনের সমস্ত আগ্রাসন রুখে দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।