শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পবিপ্রবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২০ মে ২০২৪

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা 

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা 
সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন নিত্যদিনের ঘটনা। 

রবিবার (১৯ মে) আনুমানিক দুপুর সাড়ে ৩ ঘটিকার দিকে পবিপ্রবি আবাসিক হল গুলোর কারেন্ট চলে যায়। রাত ৮টা পেরিয়ে গেলেও আবাসিক হলগুলো বিদ্যুৎ কিংবা আলো বঞ্চিত। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী হলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি(জেনারেটর) প্রদান করে থাকেন। 

কোনো ন্যায্য কারণ ছাড়াই বা নোটিশ ব্যাতিত একনাগাড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হালকা বৃষ্টি কিংবা বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়া যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। 

গত কয়েকদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। নিয়মিতভাবে আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, অ্যাকাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষগুলোতে নিয়মিত পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। বেশ কয়েকটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের চলছে পরীক্ষা। বিদ্যুৎ বিহীন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি কিংবা একাডেমিক পড়াশোনা চালিয়ে নিতে ব্যার্থ।  

আবাসিক হলগুলোতেও চলছে একই অবস্থা। তাছাড়া আবাসিক হলের গণরুমগুলোতে প্রবেশ করলে মনে যেন আগুনের গুহায় প্রবেশ করা হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। রাতভর এভাবে বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কয়েকটি অনুষদের পরীক্ষা-টিউটোরিয়াল চলমান। কিন্তু লোডশেডিংয়ের জন্য সময়মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না অনেকেই। 

অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, দিনে প্রখর রোদে ক্লাস এবং ল্যাব শেষ করে রাতে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা একটু বিশ্রাম নেয় এবং সারাদিনের পড়াশোনাকে গুছিয়ে নিতে লাইব্রেরিতে যায়। অথচ প্রখর গরমেও ঘন্টার পর ঘন্টা শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। এ সমস্যা আগে অনেক কম ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রচণ্ড রকমের বিদ্যুৎ বিভ্রাট লক্ষ্য করছি। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং পড়াশোনায় চাপ সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি। প্রশাসনের নিকট দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি।

আ/ম

জনপ্রিয়