বৈশ্বিক সূচকে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ার বাজার!
দেশের পুঁজিবাজারে অর্থায়নের উৎস হলেও নানা সীমাবদ্ধতায় তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আগ্রহ হারাচ্ছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এরই ফলে বৈশ্বিক সূচকে বাজার মূলধনের দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ার বাজারগুলো।
পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করলেও নানা অনিয়ম-অদক্ষতায় সংকুচিত হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুসংগঠিত পুঁজিবাজার অপরিহার্য হলেও তা এখনো গড়ে উঠেনি।
এখন দেশের পুঁজিবাজারের মূলধন ও জিডিপির অনুপাত ৮ শতাংশের নিচে। পাশের দেশ ভারতে এই হার ১২০ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে ৫ ধাপ নেমে দেশের পুঁজিবাজার অবস্থান করছে ৪২তম স্থানে। বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ। ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ৫ দশমিক ৬২ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান বাজার মূলধন সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার ঘরে।
বিএসইসি সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা যদি ঠিক মতো বজায়ে রাখে, বাংলাদেশের অর্থনীতিও দুই তিন বছরের মতো ওইরকম একটা পর্যায়ে পৌঁছবে। যখন বেসরকারি খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হবে।’
শেয়াররবাজার থেকে যারা পুঁজি সংগ্রহ এবং জোগান দেন তাদের আগ্রহ কমায় আকার বাড়েনি বাজারের। এজন্য সার্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করছেন সাবেক চেয়ারম্যান।
ফারুক আহম্মেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশি পুঁজি হোক আর বিদেশি পুঁজি হোক, তারা কেন দৌড়াতে চাইবেন এদের পেছনে। সুতরাং বাংলাদেশে সুশাসন হলে বিনিয়োগ হবে, বিনিয়োগ হবে মুদ্রা বাজার, পুঁজিবাজার উভয়ই উপকৃত হবে।’
চরম তারল্য সংকটে গত ১৫ বছরে দেশের পুঁজিবাজারে সূচক ও বাজার মূলধনেও ব্যাপক পতন হয়েছে। যা দূর করতে কাজ করছে গঠিত টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল আমীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যারা ভুগছে তাদের যতদ্রুত সম্ভব একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে পারি তার জন্য কাজ চলছে। আমাদের পুঁজিবাজারের বড় সংকট হলো আস্থা, তারল্য সংকটতো রয়েছেই।’
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের পথ সুগম হবে না বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।