কুমিল্লায় একই দিনে বিএনপি-এনসিপি’র জনসভা ঘিরে উত্তেজনা

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই দিনে একই সময়ে জনসভা ডেকেছে বিএনপি ও এনসিপি। এ জনসভা সফল করতে দুই দলের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় আন্দিকোট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ সামসুল হক কলেজ মাঠে পূর্ব থেকেই জনসভার ডাক দিয়েছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
অপরদিকে একই দিনের বেলা ২টা ৩০ মিনিটে পার্শ্ববর্তী আকবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর হাই স্কুল মাঠে জনসভার ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাঙ্গরা বাজার থানা শাখা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া’র বাবা মো.বিল্লাল হোসেন মাষ্টার। তবে দুই দলের কেউ জনসভার করা অনুমতি নেয়নি বলে জানিয়েছেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আবদুর রহমান।
এদিকে, একই দিনে পাশাপাশি ইউনিয়নে বিএনপি ও এনসিপির জনসভাকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন গণমাধ্যমকে বলেন, মুরাদনগরে সুষ্ঠু ভোট হলে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে কায়কোবাদ। জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি নতুন দল। আমরা কখনোই প্রতিপক্ষ মনে করি না। দলের নেতাকর্মীর ব্যক্তিগত টাকা এবং দলীয় ফান্ড থেকেই এই জনসভার আয়োজন করা হচ্ছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
মুরাদনগর উপজেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক উবাইদুল হক সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করছে। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে এনসিপ তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবে।
বিএনপি ও এনসিপির জনসভাকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, জনসভার বিষয়ে বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের সাথে আমার কথা হয়েছে।
দুই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জনসভা করবেন। তারপরেও জনসভাস্থলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা পেতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কেও জানানো হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান বলেন, জনসভা করার বিষয়ে দুই দলের কেউ লিখিত অনুমতি নেয়নি।
জনসভার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।
অনুমতি না চাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসভা বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে ডিসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত সময় রয়েছে আবেদন করার।