মাগুরায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম!

মাগুরার শ্রীপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক সভাপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের দাইরপোল এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে।
আহত ওই ব্যক্তির নাম মিয়া মাহাফুজার রহমান তুষার। তিনি শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মিয়া মাহাফুজার রহমান তুষার গ্রামের বাড়ি দাইরপোল থেকে বের হয়ে ভ্যানে করে খামারপাড়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথেই ৮-১০ জন ধারালো দা এবং লাঠি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার জন্যে আওয়ামী লীগ নেতা তুষারের পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা বিএনপির নেতা জোয়ারদার আশরাফুল আলমের লোকজনকে দায়ী করেছেন।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা তুষারের ভাই মিয়া মোখলেছুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতার কারণে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ জোয়ারদারের ভাতিজা রাজিনের নেতৃত্বে সুরুজ, নজির, কুদুসসহ আরও বেশ কয়েকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা তুষারের মেয়ে তিশা শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবার ওপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। তার দুই হাত এবং দুই পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোয়ারদার আশরাফুল আলম বলেন, রাজনৈতিক বিরোধের কারণে তার ওপর হামলা হতে পারে। কিন্তু সেখানে আমার পরিবারের ঘনিষ্ট কেউ হামলায় উপস্থিত ছিল কিনা সেটি আমার জানা নেই।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইদ্রিস আলি বলেন, হামলার খবর পেয়েছি। তবে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হামলার ঘটনায় কারা জড়িত সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।