মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১২:১৪, ১০ এপ্রিল ২০২৫

প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না ১০ শিক্ষার্থী

প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না ১০ শিক্ষার্থী
সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের কয়ারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের গাফিলতির কারণে একটি বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না তারা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কয়ারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তারের মা মোছা. আসমা (৪৫)।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কয়ারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা শামীম (৪৫), সহকারী শিক্ষক মাজাহারুল (৩৫), মুজাম্মেল (৪০) ও সাকাওয়াতের (৪০) গাফিলতির কারণে বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আসেনি। কিন্তু কয়েকদিন আগেও ওই ১০ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রবেশপত্রের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন তারা। ১০ পরীক্ষার্থী কাছ থেকে ফরম পূরণের ফি বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছিলেন। কারো কাছ থেকে ৪ হাজার এমনকি ৭ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এসএসসি পরিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে কয়ারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে যান প্রবেশপত্র আসছে কিনা জানার জন্য। পরে প্রবেশ পত্র নেই জানালে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে প্রবেশপত্র চাইলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গালিগালাজ করেন প্রধান শিক্ষক শামীমসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বেশি কথা বললে হয়রানি করার হুমকি দেন শিক্ষক শামীম। এ ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শামীম বলেন, আপনারা অনেকেই জানান আমার স্কুলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকায় অন্য স্কুলের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করে থাকি। এ বছরও সেটি করেছিলাম। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান আমাকে জানান, এক সাবজেক্টের বেশি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের রেজিস্ট্রেশন করা যায়নি। তাই বাকি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। একেক জন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে একেক রকমের ফি নিয়েছিলাম তারপরেও আমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি।

কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহার মাকছুদা বলেন, এমন সময় নজরে এসেছে কাল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখনতো কিছুই করা যাচ্ছে না। ওই স্কুলটির সরকারি রেজিস্ট্রেশন নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ যেভাবে দিকনির্দেশনা দেবেন সেভাবেই আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়