ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলে নিহত

ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ বছরের সন্তানসহ রুপা খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ফুলহরি ইউনিয়নের চাঁদপুর নামকস্থানে এ র্ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় নিহতের স্বজনরা।
নিহত রিপা খাতুন (২৬) উপজেলার গাবলা গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী এবং সোয়াদ (৬) তাদের সন্তান।
জানা যায়, বাবার বাড়ি বড় গাবলা থেকে ইজিবাইকে করে শ্বশুরবাড়ি শীতলীডাঙ্গা যাওয়ার পথে চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি ধাক্কা দেয় ইজিবাইটিকে। এতে ঘটনাস্থলেই রিপা খাতুন (২৫) মারা যায়। এ সময় তার আরেক সন্তান সোয়াদ (৬) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের স্বামী মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্ত্রী রুপা খাতুন গর্ভবতী। সে গতকাল ডাক্তার দেখাতে ঝিনাইদহে আসে। ডাক্তার দেখিয়ে সে বাবার বাড়িতে ছিল। আজ বিকেলে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। স্ত্রী ও সন্তানের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারি আমার স্ত্রী রুপা খাতুন মারা গেছে। পরে রাত ৮টার দিকে আমার ছেলে সোয়াদকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারজানা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, রুপা খাতুনকে মৃত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার ছেলে সোয়াদকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরাপপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাড়াগঞ্জ বাজার থেকে ভাটই বাজারের দিকে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিকে থেকে ইজিবাইকে ধাক্কা দেয়। এসময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ইজিবাইকটি। ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠলে পথে মধ্যে রিপা মারা যান এবং তার ছেলে সেও চিকিৎসা অবস্থায় মারা যান।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মা ও ছেলেকে, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।