শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১৫ মার্চ ২০২৫

‘জুলাই ফাউন্ডেশন হতে পারলে শাপলা ফাউন্ডেশনও করতে হবে’

‘জুলাই ফাউন্ডেশন হতে পারলে শাপলা ফাউন্ডেশনও করতে হবে’
সংগৃহীত

দেশে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হত্যাকারী প্রশাসনের অতিউৎসাহী সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার নেতৃবৃন্দরা। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এ দাবি জানান।

এ সময় বক্তারা বলেন, কোনো আন্দোলনের রক্তই বৃথা যায় না, প্রতিটি রক্তের ফোঁটার জবাব দিতে হবে। ২০১৩ সালের জঘন্য গণহত্যায় যারা যেভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে হিসাবের খাতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শাপলা চত্বর ও চিটাগাং রোডের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত করতে হবে। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। হেফাজতের সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে হয়রানিমূলক মামলায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সবাইকে পুনর্বাসনের জন্য হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্বতন্ত্র ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি নিয়ে যেতে হবে। জুলাই ফাউন্ডেশন যদি হতে পারে তাহলে শাপলা ফাউন্ডেশনও করতে হবে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০১৩ সালে যারা নিহত-আহত হয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, যারা মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করতে হবে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার সভাপতি মুফতি কাসেম আল হোসাইনীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শায়খুল হাদিস মুফতি বশিরুল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আজহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর ১০নং জোনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শরীফুল্লাহ তারেকী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসাইন নুরানি ও মাওলানা জাকারিয়া আল ফরহাদ প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, নাস্তিক ছাড়া চরমোনাই-জামায়াতে ইসলামীসহ সব ইসলামিক দল আমরা ঐক্য নিয়ে আছি। আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। আমরা সবাই অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়াব। ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে হেফাজতে ইসলাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ৫ আগস্টের আন্দোলনেও হেফাজতে ইসলাম রক্ত জড়িয়েছে। আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়